এর ব্যাখ্যায় মুফাস্সিরগণের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়। হাসান বসরী, ইকরামাহ, আতা ইবনে আবী রাবাহ, জাবের ইবনে যায়েদ, মুজাহিদ ও ইবরাহীম নাখায়ী রাহিমাহুমুল্লাহ বলেন, তীন বা আঞ্জির (গোল হালকা কালচে বর্ণের এক রকম মিষ্টি ফল) বলতে এই সাধারণ তীনকে বুঝানো হয়েছে, যা লোকেরা খায়। আর যায়তুন বলতেও এই যায়তুনই বুঝানো হয়েছে, যা থেকে তেল বের করা হয়। [কুরতুবী, তাবারী] কোন কোন মুফাস্সির বলেন তীন ও যায়তুন শব্দের অর্থ এই ফল দুটি উৎপাদনের সমগ্র এলাকা হতে পারে। আর এটি হচ্ছে সিরিয়া ও ফিলিস্তীন এলাকা। কারণ সে যুগের আরবে তীন ও যায়তূন উৎপাদনের জন্য এ দুটি এলাকাই পরিচিত ছিল। ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়েম রাহিমাহুমুল্লাহ এই ব্যাখ্যা অবলম্বন করেছেন। অন্যদিকে ইবনে জারীর প্রথম বক্তব্যটিকে অগ্ৰাধিকার দিলেও একথা মেনে নিয়েছেন যে, তীন ও যায়তুন দ্বারা এই ফল দু'টি উৎপাদনের এলাকা উদ্দেশ্য হতে পারে।
(সোর্সঃ তাফসীরে জাকারিয়া)
(‘তীন’ ডুমুরজাতীয় এক প্রকার মিষ্টি ফল; যার গাছ ও ফল ডুমুর গাছ ও ফলের মতই দেখতে। উর্দুতে ‘আনজীর’ তর্জমা দেখে তা আমাদের দেশের ‘পেয়ারা’ ‘আঞ্জীর’ বা ‘আমসপেরা’ মনে করা ভুল। যয়তূনকে ইংরেজীতে ‘অলিভ’ বলা হয়। বাংলাতে এর অনুবাদ ‘জলপাই’ করা হয়ে থাকে।) -সম্পাদক
(সোর্সঃ তাফসীরে আহসানুল বায়ান)
অসাধারান একটি ফল, আমার মেয়েরা বেশি পছন্দ করে।